UAE এর ৭০০ কোটি টাকা অনুদানের গুজব কারা রটিয়ে ছিল? বেরিয়ে এলো মিথ্যাপ্রচারকারীদের নাম।
‘কোনো জিনিস নেই অথচ সেই জিনিসের উপর দাবি দেখবার জন্য লড়াই লেগে যাওয়া’- ঠিক এমনটাই ঘটেছে বিগত কয়েকদিনে ভারতে। বিষয়টি হচ্ছে কেরালার বন্যার জন্য গুজব রোটানো UAE এর ৭০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে। আর এই টাকা নেবে না বলে জানায় কেন্দ্র সরকার কারণ ভারতের নীতির এটার অনুমতি দেয় না যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে বিদেশি সাহায্য নেওয়া হোক। কিন্তু এখন এটা সকলের কাছেই পরিষ্কার, যে টাকার জন্য রাজনৈতিক দল একে অপরের সংঘর্ষে নেমে পড়েছিল , যে টাকার জন্য বিরোধীরা নিজের দেশের সরকারকে নিচু দেখানোর কাজে লেগে পড়েছিল সেই টাকার পস্তাব আসলে কখনোই UAE দেয়নি। UAE সাফ জানিয়ে দেয়, আমরা সাহায্যের কথা বলেছিলাম কিন্তু ৭০০ কোটি টাকার পরসংখ্যান কোথায় থেকে এসেছে তা আমরা জানিনা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে যে এই গুজব রোটালো কে? কোটি কোটি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করে কেন্দ্র সরকারকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করলো কে?
কেন্দ্র সরকারকে নিচু দেখানোর কথা উঠছে এই কারণেই কারণ দালাল মিডিয়াগুলি প্রকাশিত করেছিল যে UAE ভারত সরকারের থেকে বেশি টাকা কেরালাকে দান করলো। জানলে অবাক হবেন UAE ৭০০ কোটি টাকা অনুদান করবে এই গুজব সামনে আসতেই কেরালার বামপন্থী ও কট্টরপন্থীরা মিলে রাতারাতি পুরো কেরালা জুড়ে ‘ধন্যবাদ UAE’ বলে প্রচার করে বন্যার, পোষ্টার লাগিয়ে দেয়। চমকে দেওয়ার বিষয় এই যে, UAE থেকে ৭০০ কোটি টাকা অনুদানের কথা সর্বপ্রথম কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান বলেন। উনার দপ্তরের তরফ থেকে ২১ আগস্ট এর রাতে ৯.৫৬ মিনিটে একটা প্রেস রিলিজ ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। যেখানে উনি UAE এর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহানকে ধন্যবাদ জানান এই বলে যে প্রিন্স কেরালার বন্যার জন্য ৭০০ কোটি টাকার সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
এই প্রেসরিলিজ মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইটও করা হয়। ২২ আগস্ট UAE এর প্রিন্স এর তরফ থেকে একটা টুইট করেন। টুইটে প্রিন্স কেরলের রি সংকটে সাহায্যের ভরসা দেন কিন্তু সেখানে কোথাও লেখা ছিল না যে UAE কেরালার বন্যার জন্য ৭০০ কোটি টাকা অনুদান দেবে। প্রিন্স এটাও লিখেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিজের পস্তাব রেখেছেন। এরপর নরেন্দ্র মোদীর তরফেও প্রিন্সের টুইটের জবাবে ধণ্যবাদ জানানো হয় সেখানেও এটা উল্লেখ ছিল না যে UAE ৭০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতক্ষনে বামপন্থী ও তথাকথিত সেকুলার দালালরা জোরতার করে প্রচার করে যে মোদী সরকারের থেকে UAE বেশি টাকা দিয়ে সাহায্য করছে।কেরালার সরকারি তরফ থেকে প্রচার শুরু হয় যে মোদী সরকারের থেকে UAE বেশি টাকা সাহায্য করছে।
এই চর্চা আরো বেড়ে যায় যখন ভারত UAE থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য না নেওয়ার কথা জানায় এবং বামপন্থীরা অভিযোগ করে যে মোদী সরকার অনুদান না নিয়ে কেরালার সাথে ভেদাভেদ করছে। অবশ্য ভারত সরকার কোথাও কোনোভাবেই ৭০০ কোটির উল্লেখ করেনি। সবথেকে বড় ব্যাপার এই যে বর্তমান যুগে মানুষ খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গুগলের সাহায্য নেয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতি বিষয়ে গুগলের উপর সবথেকে বেশি দাপট বামপন্থী ও কংগ্রেসিদের যার কারণে গুগল খুললে সার্চ করলেও গুজব খবর সামনে আসতে শুরু করে। গুজব পৌঁছে যায় চরম স্তরে কিন্তু কথায় আছে সত্যের জয় নিশ্চিত , আর তাই শেষমেষ বেরিয়ে আসে আসল সত্য। ভারতে থাকা UAE এর রাজদূত জানাই যে আমরা কেরলবাসীর এই সংকটে পাশে আছি, কিন্তু ৭০০ কোটি টাকার পরিসংখ্যান কোথায় থেকে এসেছে তা আমাদের জানা নেই। লজ্জায় বিষয় এই , যে টাকার ঘোষণাই কোনোদিন হয়নি সেই পরিসংখ্যান নিয়ে বামপন্থী,কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল ও কিছু দালাল মিডিয়া নিজের দেশের সরকার ও দেশকে বিশ্বের সামনে ছোট দেখাতে লেগে পড়ে। এখন প্রশ্ন উঠছে কেরল সরকার, কংগ্রেস ও দালাল মিডিয়া কোটি কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কি ক্ষমা চাইবে?কেরালার এই বিধ্বংসী বন্যাকে হাসি মজায় পরিণত করে মোদী সরকারকে ছোট দেখানোর মিথ্যা প্রয়াসের জন্য কি এরা লজ্জিত?
Ei Samay
কেন্দ্র সরকারকে নিচু দেখানোর কথা উঠছে এই কারণেই কারণ দালাল মিডিয়াগুলি প্রকাশিত করেছিল যে UAE ভারত সরকারের থেকে বেশি টাকা কেরালাকে দান করলো। জানলে অবাক হবেন UAE ৭০০ কোটি টাকা অনুদান করবে এই গুজব সামনে আসতেই কেরালার বামপন্থী ও কট্টরপন্থীরা মিলে রাতারাতি পুরো কেরালা জুড়ে ‘ধন্যবাদ UAE’ বলে প্রচার করে বন্যার, পোষ্টার লাগিয়ে দেয়। চমকে দেওয়ার বিষয় এই যে, UAE থেকে ৭০০ কোটি টাকা অনুদানের কথা সর্বপ্রথম কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান বলেন। উনার দপ্তরের তরফ থেকে ২১ আগস্ট এর রাতে ৯.৫৬ মিনিটে একটা প্রেস রিলিজ ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। যেখানে উনি UAE এর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহানকে ধন্যবাদ জানান এই বলে যে প্রিন্স কেরালার বন্যার জন্য ৭০০ কোটি টাকার সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
এই প্রেসরিলিজ মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইটও করা হয়। ২২ আগস্ট UAE এর প্রিন্স এর তরফ থেকে একটা টুইট করেন। টুইটে প্রিন্স কেরলের রি সংকটে সাহায্যের ভরসা দেন কিন্তু সেখানে কোথাও লেখা ছিল না যে UAE কেরালার বন্যার জন্য ৭০০ কোটি টাকা অনুদান দেবে। প্রিন্স এটাও লিখেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিজের পস্তাব রেখেছেন। এরপর নরেন্দ্র মোদীর তরফেও প্রিন্সের টুইটের জবাবে ধণ্যবাদ জানানো হয় সেখানেও এটা উল্লেখ ছিল না যে UAE ৭০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতক্ষনে বামপন্থী ও তথাকথিত সেকুলার দালালরা জোরতার করে প্রচার করে যে মোদী সরকারের থেকে UAE বেশি টাকা দিয়ে সাহায্য করছে।কেরালার সরকারি তরফ থেকে প্রচার শুরু হয় যে মোদী সরকারের থেকে UAE বেশি টাকা সাহায্য করছে।
এই চর্চা আরো বেড়ে যায় যখন ভারত UAE থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য না নেওয়ার কথা জানায় এবং বামপন্থীরা অভিযোগ করে যে মোদী সরকার অনুদান না নিয়ে কেরালার সাথে ভেদাভেদ করছে। অবশ্য ভারত সরকার কোথাও কোনোভাবেই ৭০০ কোটির উল্লেখ করেনি। সবথেকে বড় ব্যাপার এই যে বর্তমান যুগে মানুষ খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গুগলের সাহায্য নেয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতি বিষয়ে গুগলের উপর সবথেকে বেশি দাপট বামপন্থী ও কংগ্রেসিদের যার কারণে গুগল খুললে সার্চ করলেও গুজব খবর সামনে আসতে শুরু করে। গুজব পৌঁছে যায় চরম স্তরে কিন্তু কথায় আছে সত্যের জয় নিশ্চিত , আর তাই শেষমেষ বেরিয়ে আসে আসল সত্য। ভারতে থাকা UAE এর রাজদূত জানাই যে আমরা কেরলবাসীর এই সংকটে পাশে আছি, কিন্তু ৭০০ কোটি টাকার পরিসংখ্যান কোথায় থেকে এসেছে তা আমাদের জানা নেই। লজ্জায় বিষয় এই , যে টাকার ঘোষণাই কোনোদিন হয়নি সেই পরিসংখ্যান নিয়ে বামপন্থী,কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল ও কিছু দালাল মিডিয়া নিজের দেশের সরকার ও দেশকে বিশ্বের সামনে ছোট দেখাতে লেগে পড়ে। এখন প্রশ্ন উঠছে কেরল সরকার, কংগ্রেস ও দালাল মিডিয়া কোটি কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কি ক্ষমা চাইবে?কেরালার এই বিধ্বংসী বন্যাকে হাসি মজায় পরিণত করে মোদী সরকারকে ছোট দেখানোর মিথ্যা প্রয়াসের জন্য কি এরা লজ্জিত?
Ei Samay
Comments
Post a Comment